গলা কাঁপিয়ে ডায়লগ নয়, ভাঁড়ামো নয়, ন্যাকামো নয়, বাঙাল ভাষায় ডায়লগ বলা নয়। তবুও যেন তাকে ছাড়া ফিল্ম করা যায় না। সব কিছুই ছিল ন্যাচারাল, স্বাভাবিক। কোন খাদ নেই।
বিভূতিভূষণ প্রসন্ন গুরুমশায়ের চরিত্র চিত্রণ করে কোথাও লিখে যাননি ম্যানারিজমের কথা।
1/7
কিন্তু ডায়লগ বলতে বলতে পাখার বাঁট দিয়ে পিঠ চুলকানো, চোখ বড় বড় করে 'হাত পাত, হাত পাত ' বলা। 'এই সেই জনস্থান....সতত সঞ্চরমাণ, ফের গলা খাঁকারি দিয়ে, সতত স ঞ্চ র মাণ....' বলা,
এগুলো সব ন্যাচারাল। একেবারে যেন বই এর পাতা থেকে উঠে এসেছেন প্রসন্ন গুরুমশায়।
2/7
প্রায় প্রত্যেক বড় পরিচালকদের একজন করে ফেভারিট হিরো থেকে। আকিরা কুরোসাওয়ার তসিরো মিফুনে। ইঙ্গমার বার্গম্যানের, ম্যাক্স ভন স্যাডো। ফেদেরিক ফেলিনির, Marcello Mastroianni. সত্যজিৎ রায়ের সৌমিত্র। কিন্তু সৌমিত্র irreplaceable ছিলেন তা কিন্তু নয়। 3/7
কিন্তু হ্যাঁ, তুলসী চক্রবর্তী, সন্তোষ দত্ত, উৎপল দত্ত, রবি ঘোষ এনারা কিন্তু irreplaceable ছিলেন। এঁদের ছাড়া ওই ক্লাসিক চরিত্র চিত্রণ যা আমরা দেখি তা করা সম্ভব নয়। অন্যকে দিয়ে কাজ চালানো যেতে পারে ঠিকই কিন্তু ওই ক্লাস পাবেন না।
পরশপাথর সিনেমার প্রস্তাব নিয়ে সত্যজিৎ রায়
4/7
যখন তুলসীবাবুর বাড়ি যান,
পারিশ্রমিকের অঙ্ক শুনে তুলসী বাবু কেঁদে ফেলেছিলেন। সত্যজিৎ রায় একটু বিব্রত হয়েছিলেন কারন ওনার সত্যি যা পারিশ্রমিক হওয়া উচিত তা দিতে পারছেন না। তুলসী বাবু সত্যজিৎ রায়কে বলেছিলেন এই পারিশ্রমিকের কথা কাউকে না জানাতে কারণ প্রযোজকরা তাহলে হয়ত আর
5/7
ডাকবেন না উনি এত বেশি টাকা নিয়েছেন জানলে।
তুলসী চক্রবর্তী ছিলেন সেই পরশপাথর যিনি নিজেই তার মূল্য বোঝেন নি আর অন্যরা তো বুঝতেই পারেন নি।
ওনার মৃত্যুর পর, ওনার স্ত্রীকে তুলসী বাবুর মেডেল গুলো বিক্রি করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। শোনা যায়, মিঠুন চক্রবর্তী এবং আর্টিস্ট ফোরাম
6/7
কিছুটা অর্থ সাহায্য করেছিলেন এ ছাড়া নিঃসন্তান বিধবা মহিলার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় নি।
তথ্য ইউ টিউব এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা।
7/7